নওগাঁ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

নওগাঁ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত। বাংলাদেশের রয়েছে ৬৪ টি জেলা মধ্যে একটি নওগাঁ জেলা এখানে যেসব জিনিসের জন্য বিখ্যাত হয়ে রয়েছে। তা জেনে নিয়ে আসুন ধান, আম, আলু, পেঁয়াজ, গম,  তামাক, প্যারাস সন্দেশ, দর্শনীয় জায়গার জন্য নওগাঁ জেলা বিখ্যাত। 

নওগাঁ-জেলা-কিসের-জন্য-বিখ্যাত

বাংলাদেশের জেলার মধ্যে রয়েছে নওগাঁ জেলা এটিতে মন মুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় আত্রাই নদী আরো রয়েছে রবীন্দ্রনাথের কুঠির ঘর আদি একটি নিদর্শন রয়েছে। নওগাঁ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত  পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার। কুসুম্বা টি মসজিদটি সুলতানি আমলের আদি নিদর্শন হয়ে রয়েছে।

পেজ সূচিপত্রঃ নওগাঁ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

নওগাঁ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

 নওগাঁ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত। আপনারা অনেকেই জানেন না আমাদের নওগাঁ জেলায় যে বিখ্যাত জিনিসগুলো রয়েছে তা আমাদের অজানা রয়ে গেছে। নওগাঁ জেলায় অত্যন্ত ধানের ফসলটি ভালো হয় যা কৃষিখাতে একটি ভালো ভূমিকা রেখে। আরো রয়েছে নওভার সেই বিখ্যাত ছানার মিষ্টি যেটি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে পরিচিতি পেয়েছে যে আমাদের জন্য একটি গর্বের বিষয়। আর নওগাঁই ১৯৭০ থেকে ১৯৯০ এই সালে ব্যাপক হারে তামাক চাষের ব্যবহার ছিল যেগুলি এলাকা পত্নীতলা,  ধামুরহাট,  মহাদেবপুর, নিয়ামতপুর ব্যাপকহারে তামাক চাষের প্রচলন ছিল এরপরে যা হলো।


তামাক কোম্পানি লোকেরা অগ্রিম লোন দিয়ে রাখতেন কৃষকদের এরকম সুযোগ সুবিধার ফলে তারা তামাক চাষে ঝুঁকতে থাকে এবং আস্তে আস্তে যখন স্বাস্থ্যঝকে ও তামাক চাষের ফলে মাটির উর্বরতা নষ্ট হতে থাকে এই দিক বিবেচনা করে সরকার তামাক চাষকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তারপর কৃষকরা অন্য ফসল ফলাতে উদ্যোগে হলেন ধান, ভুট্টা, গম অন্যান্য শস্য ফলাতে শুরু করলো বিশেষ করে নওগাঁ জেলা এখন আম জন্য বিখ্যাত হয়েছে। রাজশাহী বিভাগে নওগাঁ জেলার অধীনে চাপাই নবাবগঞ্জ আমের জন্য অনেক প্রসিদ্ধ একটি অঞ্চল এ অঞ্চলে বিশেষ আমগুলোর মধ্যে রয়েছে।

বাংলাদেশের মধ্যে একটি উত্তরাঞ্চল অবস্থিত নওগা জেলার ঐতিহাসিক সংস্কৃতি সমৃদ্ধ অধিকারী এখানে প্রাকৃতিকগত সৌন্দর্যে কারণে বিশেষ করে পরিচিতি লাভ করেছে এই জেলায় রয়েছে
প্রাচীন ইতিহাসের কিছু চিহ্ন যা এখনো রয়ে গেছে নওগাঁ জেলায়। বিশেষ করে পরিচিতি লাভ করেছে নওগাঁ জেলায় লুকায়িত ধানের ভান্ডার বলে জানা যায় এখানে শেষ না আপনারা জানেন নওগাঁর পরিচিতি শুধু কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির ওপর সীমাবদ্ধ নয় এইটা বরং ঐতিহাসিক স্থাপনা কিছু নিদর্শন এর ওপর নির্ভর করে ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে রয়েছে। প্রাচীনতম মন্দির-মসজিদ দেখা যায়।

নওগাঁর যে ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য দেখা যায় বিশেষ করে নওগাঁ জেলার আয়তন প্রায় ৩৪৩৫ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত নওগাঁ জেলার ওপর দিয়ে যেগুলো নদী প্রবাহিত হয়ে গিয়েছে ছোট যমুনা, আত্রাই,নাগর, তুলসী গঙ্গা আরো প্রভৃতি নদী বয়ে গেছে নওগাঁ জেলার ওপর দিয়ে।নদীর কারণে উর্বর মাটির কারণে কৃষি উৎপাদনের জন্য শীর্ষস্থান নওগাঁ জেলা বলে জানা গিয়েছে। আর নওগাঁ জেলার ভৌগোলিক অবস্থান ও জানতে পারেন রাজশাহী বিভাগের মধ্যে উত্তরে দিনাজপুর ও জয়পুরহাট এবং দক্ষিণে নাটোর ও রাজশাহী পূর্বে বগুড়া ও জয়পুরহাট এবং পশ্চিমবঙ্গে ভারত অবস্থিত।

নওগাঁ জেলা আমের জন্য বিখ্যাত

নওগাঁ জেলা আমের জন্য বিখ্যাত। আপনারা কি জানেন বাংলাদেশে একটি কৃষি ভিত্তিক দেশ এই দেশে উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং নওগাঁ জেলার অতি সুস্বাদু আমের জন্য বিখ্যাত এর মধ্যে নওগাঁ জেলার বিশেষ পরিচিত বিখ্যাত। এখানে অতি সুস্বাদু আম উৎপাদিত করা হয়। বিশেষ করে আমের স্বাদ, গন্ধ ও বৈচিত্র্য শুধু দেশের মধ্যে আর কোথাও দেখা যায় না নওগাঁ জেলার এই আমটি আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক ভাবে সুপরিচিত হয়েছে আপনি কি জানেন আম কে কেন্দ্র করে নওগাঁ  গড়ে উঠেছে কৃষি অর্থনীতি এইখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের জায়গা করে দিয়েছেন।
নওগাঁ-জেলা-আমের-জন্য-বিখ্যাত

আপনারা জেনে অবাক হবেন নওগাঁর মাটিতে রয়েছে পলি এক ধরনের দুআ মাটি এ মাটির উর্বরতা এবং আবহাওয়া অনুকূল মিলে এখানে উৎকৃষ্ট মানের আম উৎপাদন হয় এটি আর কোথাও দেখা যায় না। বাংলাদেশে অনেক জায়গায় আম চাষ হয় কিন্তু নওগাঁ থেকে সুস্বাদু আর মানে ভালো দেখা যায় না এই আমের একটি ইতিহাস রয়েছে বাংলাদেশে আমের চাষের প্রাচীনকাল থেকেই শুনে আসতেছি যে নওগায় অঞ্চলে আমের চাষ ব্যাপক হারে হয়তো মোগল আমল থেকে শুরু করে রাজা জমিদার ও প্রভাবশালী কৃষকরা আমের বাগান করতেন বলে শোনা গিয়েছে।

নওগাঁয় শুধু স্থানীয় বাজারে এটি সীমাবদ্ধ ছিল না বরং এইটা দূর দুরান্তে রপ্তানি করা হতো স্বাধীনতার পর এইগুলো অঞ্চলকে আম চাষের জন্য বিস্তার আকার ধারণ করা হয়েছে যা বর্তমানে নওগাঁ জেলার প্রায় প্রত্যেকটি উপজেলায় আম চাষ করা হয়ে থাকে। নওগাঁয় কৃষকরা আধুনিক প্রযুক্তি কৃষিতে ব্যবহার আম চাষ করে থাকছেন তারা বর্তমানে গুটি, কলম, গ্রাফটিং বাগানের ব্যবস্থাপনা এবং সঠিকভাবে স্যার প্রয়োগ করা রোগ বালাই নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দক্ষ হয়ে উঠেছে। বিশ্বাস করে আমের কারণে মৌসুমী সময়ে নওগাঁয় একটি পর্যটনের ভিড় দেখা যায় এটি  বিশেষ করে। আম খাওয়ার জন্য নওগাঁ ভ্রমণ করে থাকেন।

জেলার মধ্যে বদলগাছি, মহাদেবপুর, ধামুরহাট নিমাতপুর সহ বিভিন্ন স্থানে বাগান পর্যটকদের আকর্ষণ করে থাকে। নওগাঁ জেলার শুধু ভৌগোলিক বা ঐতিহাসিক এর কারণেই নয় এইটা বরং আমের জন্য সমগ্র বাংলাদেশে বিশেষ এক খ্যাতি অর্জন করেছে যা নওগাঁর সুস্বাদু আম, পুষ্টিকর এবং অর্থনৈতিক ও সংস্কৃতি মূল্য বহন করে থাকে এই জেলার মানুষের জীবিকা অন্যতম প্রধান অবলম্বন করে থাকেন আম চাষে

নওগাঁ জেলা তামাকের জন্য বিখ্যাত ছিল

নওগাঁ জেলা তামাকের জন্য বিখ্যাত ছিল। আপনারা জানেন যে বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ আরে উত্তর অঞ্চল গুলোর জেলাগুলো কৃষি উৎপাদন এর জন্য বিশেষভাবে বিখ্যাত ছিল। রাজশাহী বিভাগে অন্তর্গত নওগাঁ জেলার নানা ফসল উৎপাদনের জন্য খ্যাতি অর্জন করে। এটা একসময়ের জেলার কৃষি সমাজের বড় একটি অংশ হয়েছিল তামাক চাষের সাথে পুরোপুরি ভাবে যুক্ত ছিল আপনারা জানেন বিশেষ করে ২০ শতকের মাজা মাঝি ৯০ এর দশক পর্যন্ত নওগাঁ জেলা তামা চাষের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম হিসেবে গড়ে উঠেছিল এই কারণে বলা হয়। তামাক চাষের জন্য বিখ্যাত।


এই লেখায় আপনারা জানতে পারবেন নওগাঁ জেলা তামাক চাষের পুরনো সেই ইতিহাস নওগাঁ জেলার তামাক চাষের ইতিহাস অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব এবং কৃষকদের জীবনধারা তামাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল শিল্প-বাণিজ্য এবং এর পরিবর্তে এর প্রভাব। বাংলাদেশে যখন তামাক চাষের সূচনা হয়েছিল 19 শতকের শেষের দিকে রাজশাহী নাটোর ও নওগাঁ অঞ্চল তামাক চাষ শুরু করল প্রথমে তামাক চাষিরা সীমিত আকার হয় তবে এটি পাকিস্তানি আমলে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ এর ব্যাপক বিস্তার ঘটেছিল। ১৯৬০ থেকে ৭০ এর দশকে বিদেশি কোম্পানি তামাকের জন্য নওগাঁ

এসে কৃষকদের চুক্তিভিত্তিক চাষের জন্য উৎসাহিত করল এবং তাদেরকে বিচার কেনার জন্য অগ্রিম টাকা ঋণ দিয়ে ছিল এইটার জন্যই জনপ্রিয় হয়ে উঠল। নওগাঁ তামাক চাষের প্রসার যেভাবে বেড়ে গেল ১৯৭০-১৯৯০ এ সময়কালে নওগাঁ জেলায় তামার চাষের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল বিশেষ করে যেগুলো রানীনগর, আত্রাই, মান্দা, বদলগাছি, মহাদেবপুর, পত্নীতলা, ধামরা উপজেলায় তামাক চাষ ব্যবহারের বিস্তার লাভ করেন কৃষকরা শীত শীতের মৌসুমে জমিটি ফেলে না রেখে তামাক চাষ করতেন আর এক সময় নওগাঁর বাজারগুলোতে শুকনো তামাক পাতা বিক্রয় হাট বসত।

নওগাঁ জেলায় তামাকের খ্যাতি সংক্ষেপে যা বলা হবে না হবে একসময় তো আমাকে জন্য অনেক বিখ্যাত ছিল এটির কারণ এখনো বিপুল পরিমাণ জমিতে তামাক চাষ হতো তামাক স্থায়ী অর্থনীতি ও সমাজ কাঠামো ও সংস্কৃতি গভীর প্রভাব ফেলেছিল তবে এই যে ক্ষতিক র দিকগুলো বিবেচনা করে তামাক চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এখন নওগাঁ মূলত ধানের ও আমের জন্য পরিচিতি পেয়েছে। বর্তমানে নওগাঁয় ধান এবং আম চাষের কারণে সমগ্র আন্তর্জাতিক বাজারে পরিচিতি লাভ করেছে।

নওগাঁ জেলার বিখ্যাত কুসুম্বা মসজিদ

 কুসুম্বা মসজিদটি তৈরি করা হয়েছিল সুলতানি আমলে, যখন গড়-বাংলা স্বাধীন সুলতানদের অধীনে ছিল মসজিদটি সেই আমলে নির্মাণ করা হয়েছিল। আফগান শাসক অধীনে স্থায়ী জমিদার সুলতান সৈয়দ আলী হোসেন সাহেব আমলে। এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হ। ধারণা করা যায় যে ১৫৫৮-১৫৯ খ্রিস্টাব্দের দিকে ৯৬৬ হিজরীতে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এর প্রতিষ্ঠাতা সন্তানের আমলে কর্মকর্তা স্থায়ী প্রভাবশালী  মুসলিম নেতা ছিল। এই সময় বাংলায় মুঘল পুরোপুরি অধিপত্য বিস্তার ছিল না তাই স্থাপনা শিল্পী সুলতানি ধারা প্রবলভাবে ফুটে উঠেছে। 

নওগাঁ-জেলার-বিখ্যাত-কুসুম্বা-মসজিদ

নওগাঁ জেলার বিখ্যাত কুসুম্বা মসজিদ। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলা উপজেলা বিভাগ ছড়িয়ে ছিটিয়াছে কুসুম্বা মসজিদের ইতিহাস এর ঐতিহ্যের নিদর্শন। যা নওগাঁ জেলার উত্তরবঙ্গের একটি প্রাচীন জনপদ ও সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য খ্যাত এই নওগাঁ জেলার সিলমাটির ভিতরে লুকিয়ে আছে অসংখ্য স্থাপনা যেগুলো শুধু বাংলাদেশের নয় সমগ্র ভারত উপমহাদেশের মুসলিম স্থাপনার ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে গুরুত্ব বহন করেন নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায় কুসুম্বা মসজিদটি অবস্থিত অমূল্য সম্পদ হিসেবে ধরা যায়। এই মসজিদটি কালো পাথর দ্বারা তৈরি করা হয়েছে।

 কারণ এটি নির্মাণ কাজ বেলে পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের অন্যতম মসজিদের তুলনায় খুবই বিরল। এবং  প্রত্নতাত্ত্বিক বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্বের অধিদপ্তর কুসুম্বা মসজিদকে একটি সংরক্ষিত প্রত্ন নিদর্শন বলে ঘোষণা দিয়েছেন এটি সুলতানি পনার অন্য যেসব মসজিদে থেকে আলাদা। পাথরে নির্মাণ শিল অন্য যেসব আদি নিদর্শন আছে তার থেকে আলাদা। প্রতিদিন দিন অসংখ্য মানুষ গবেষক ভ্রমণে ভ্রমণে আসেন এটি দেখার জন্য কুসুম্বা মসজিদের বৈশিষ্ট্যের তুলনা বাংলাদেশ আরও কয়েকটা ঐতিহাসিক মসজিদ রয়েছে যেমন সাত গম্বুজ মসজিদ,

এটি ঢাকায় অবস্থিত ষাট গম্বুজ মসজিদ বাগেরহাটে বাঘা মসজিদ যেটি রাজশাহী অবস্থিত। কুসুম্বা মসজিদে শুধু একটি প্রাচীন স্থাপনা নয় বরং এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের সংরক্ষিত ও ধর্মের ঐতিহ্যের এক অমূল্য সম্পদ। পাথরের মসজিদ হিসেবে এইচডি বৈশিষ্ট্য একে অন্যের মর্যাদা দিয়েছে এর গুরুত্ব এর কারণে কুসুম্বা মসজিদ বিশ্বের ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়ে। নওগাঁ জেলার গর্ব এই কুসুম্বা মসজিদ টি  আদি কালের নিদর্শন হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

নওগাঁ জেলার মধ্যে কতটি থানা রয়েছে

নওগাঁ জেলার মধ্যে কতটি থানা রয়েছে। আপনি কি বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলে নওগাঁ জেলা অবস্থিত এটি ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক দিক এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ জেলা নওগাঁ জেলার ভৌগোলিক অবস্থান প্রাকৃতিক সম্পদ, কৃষি, শিক্ষা, সাহিত্য এবং সংস্কৃতি ঐতিহ্য সবকিছু মিলে নওগাঁ একটি ভরপুর জনপদ এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা অংশ হিসাবে নওগাঁ জেলা একাধিক থানা বা থানা ভিত্তিক এলাকাকে বিভক্ত করা হয়েছে যা থানা গুলো কে স্থায়ী জনগণের প্রশাসনিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। আর নওগাঁ জেলায় ১১ টি উপজেলা রয়েছে এবং ১১ টি থানা রয়েছে।


নওগাঁ জেলার থানার সংখ্যা এবং উল্লেখযোগ্য থানার নাম গুলো দেখে নিন।1.নওগাঁ সদর থানা 2. মান্দা থানা 3. পত্নীতলা থানা 4. মহাদেবপুর থানা 5. বদলগাছি থানা 6. ধামুরহাট থানা 7. সাপাহার থানা 8. পোরশা থানা 9. নিয়ামতপুর 10. রাণীনগর থানা 11. আত্রাই থানা । নওগাঁ জেলা থানা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন.১.নওগাঁ সদর থানাঃ নওগাঁ সদর থানা টি জেলার প্রশাসনিক প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দু আর এখানে রয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পুলিশ সুপারের কার্যালয় সহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো অবস্থিত সদর থানা শিক্ষা, বাণিজ্য সংস্কৃতি মূল কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে থাকে।

২. মান্দা থানাঃ মান্দা থানা মূলত এটি জেলার অন্যতম বৃহৎ থানা ভৌগলিক আয়তন এলাকা অনেক বড় এবং কৃষিভিত্তিক এবং অর্থনীতির অত্যন্ত শক্তিশালী বিশেষ করে। ধান, আম, আলু ইত্যাদি জন্য
এ অঞ্চলটি সোনা রয়েছে ৩. পত্নীতলা থানাঃ এটি ঐতিহাসিক এবং সংস্কৃতি ঐতিহ্যের জন্য পত্নীতলা সুপরিচিত এবং প্রাচীন তম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এলাকাগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছেন ৪. মহাদেবপুর থানা: বিশেষ করে মহাদেবপুরে কি কি ও শিল্প সংমিশ্রণ দেখা যায় এখানে কৃষি পণ্য প্রক্রিয়া জাত করা হয় ৫. বদলগাছি থানা: এটি বিশেষ করে কুসুম্বা মসজিদের জন্য।

 পরিচিতি লাভ করেছে । ঐতিহাসিক তপনার জন্য ধর্মীয় গুরুত্ব এবং পর্যটন এলাকা হিসেবে বদরগাছি থানা পরিচিতি লাভ করেছে। ৬. ধামুরহাট থানা: এটি যাওয়ার কারণে পরিচিতি লাভ করেছে  সোমপুর মহাবিহারের [ এটি বিশ্বের ঐতিহ্যর একটি অংশ] ধামোরহাট শিক্ষা ও সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের গৌরবময়। ৭. সাপাহার থানাঃ এই থানাটি সীমান্তবর্তী থানা এবং এখানে আম উৎপাদন বিক করা হয় অঞ্চলটি সারা বাংলাদেশ আমের জন্য জনপ্রিয় ৮. পোরশা থানাঃ এইটাও সীমান্তবর্তী পোরশা থানা কৃষি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য পরিচিতি লাভ করেছেন। ৯. নিয়ামতপুর থানা কৃষির ওপর নির্ভর করে।

এই থানায় ধান, ভুট্টা, গম চাষ বেশি হয়ে থাকে এ থানার মানুষ কৃষি উৎপাদনের মাধ্যমে স্থায়ী ও জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। ১০. রানীনগর থানা: মূলত এইটি ঐতিহাসিক রানীনগর প্রাচীন বাংলার নিদর্শন ও কৃষি সমন্বয়ে দেখা যায় ১১. আত্রাই থানা: এটি আত্রাই নদীর তীরবর্তী এই থানায় মাছও কৃষি পণ্যের জন্য জনপ্রিয় এবং নওগাঁ জেলার জন্য আত্রাইয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নওগাঁ জেলার পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের জন্য বিখ্যাত

নওগাঁ জেলার পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের জন্য বিখ্যাত। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলায় পাহাড়পুর নামে এক স্থানে যে মহাবিহার অবস্থিত, তা বিশ্বের ঐতিহ্যের এক কন্যা অন্যন নিদর্শন হিসেবে দেখা যায়। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর মহাবিহার নামে শুধু বাংলাদেশ নয় গোটা দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীনতম স্থাপনা এটি ইউনেস্কো স্বীকৃত ঘোষিত ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার মধ্যে এটি অন্যতম বলা হয়েছে। এর ইতিহাস, স্থাপনা কলার, ধর্মের গুরুত্ব ও সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলেছে। পাহাড়পুর মহাবিহারের ইতিহাস সম্পর্কে জানবেন।

প্রথমে জানতে হবে ভারতীয় উপমহাদেশে বৌদ্ধ ধর্মের যে ইতিহাসটি খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ দশকে গৌতম বুধের বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার শুরু করেছিলেন। সম্রাট অশোকের [ খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে] বৌদ্ধ ধর্মকে সমগ্র ভারতে সরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে গুপ্তযুগে এবং পাল সাম্রাজ্যের সময় কালে বৌদ্ধ ধর্ম বিশ্বাস করে। বাংলার উত্তর অঞ্চল বিশেষ করে বরেন্দ্র অঞ্চলে এখানে বহু বিহার, স্তুপ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেখা যায় এর মধ্যে রয়েছে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার। তারপরে বৌদ্ধবিহার নির্মাণ করেন পাল রাজবংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল [ ৭৭০-৮১০] খ্রিস্টাব্দে] ধর্মপাল ছিলেন একজন শক্তিশালী ও সাহসী শাসক ছিলেন।

শুধু তিনি রাজনৈতিক ক্ষমতায় বিস্তার করেননি বরং তিনি শিক্ষা, ধর্ম ও সংস্কৃতির বিকাশের অবদান রেখেছিলেন। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার শুধু এটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছিল না এটি ছিল এক আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় এখানে দর্শন, ব্যাকরণ ও সাহিত এবং জ্যোতিবিজ্ঞান আর চিকিৎসা শাস্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হতো পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার কেবল এখন ধ্বংসস্তূপ পরিণত হয়ে আছে এটি আমাদের অতীতের শিক্ষা, সংস্কৃতি , ধর্ম স্থাপনার শিল্পের মহীমার প্রতীক হয়ে রয়ে গেছে ধর্মপালের সময়ে গড়ে ওঠা এই মহাবিহার ছিল বাংলার এক গৌরব যা আজও বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছে।

নওগাঁ জেলা কি খাবারের জন্য বিখ্যাত

নওগাঁ জেলা কি খাবারের জন্য বিখ্যাত। যেগুলো খাবার তা জানতে হবে। বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলাটি এই জেলা শুধুমাত্র প্রকৃতিক সৌন্দর্য বা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন কিংবা ঐতিহ্য জন্যই বিখ্যাত নয় বরং এটি খাবারের জন্য বিখ্যাত সুস্বাদু খাবারের জন্য দেশজুড়ে সুনাম রয়েছে। নওগাঁ বাসীর জীবনধারা কৃষিকাজ ও উৎসব-অনুষ্ঠান ও সামাজিক পরিমণ্ডলের সাথে জড়িয়ে বহুমুখী খাবার যেগুলো সম্পর্কে আমরা জানবো নওগাঁ জেলার বিখ্যাত খেজুরের গুড় জন্য সমগ্র বাংলাদেশের কাজে পরিচিত এবং আরো রয়েছে। নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার সন্দেশ এইটা সুনাম দেশ জুড়ে আপনারা
শুনেছেন

খেজুর গুড় যেভাবে তৈরি করা হয় শীতকালে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করা হয় যে প্রক্রিয়ায় গুড় তৈরি করা হয় তা জেনে নিন। একজন গাছি খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে ওইটা বাড়িতে নিয়ে এসে গ্রা ড্রামে করে আগুনের তাপ দিয়ে পাতলা রসকে ঘন করে তোলার প্রক্রিয়া মাধ্যমে তৈরি হয় খেজুরের গুড় খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরি করা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার এইটা সবাই তৈরি করতে পারেনা এজন্য নওগাঁ জেলা খেজুরের গুড় সমগ্র দেশ জুড়ে সেটা হয়ে রয়েছে। এবং এই গুড় দিয়ে পিঠা, ক্ষীর, মোয়া,নলের গুড় সন্দেশ ও বিভিন্ন খাবার বানানো হয় যা অত্যন্ত সুস্বাদু

অনেকেই খেজুরের আসল গৌড় খোঁজে থাকেন সেটা যদি আপনারা নিতে চান তাহলেwhatsapp নাম্বারে যোগাযোগ করবেন।অপরদিকে রয়েছে নওগাঁ জেলা মানদা উপজেলা এবং মান্দা ফেরিঘাট এখানে সন্দেশ টি পাওয়া যায়।এটি সবার কাছে জনপ্রিয় যারা একবার খেয়েছেন সদে অতুলনীয় এবং এর তুলনা কোন জায়গার মিষ্টি সাথে হয় না

নওগাঁ জেলার বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

নওগাঁ জেলার বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নওগাঁ জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান শুধু এ জেলার মধ্যে নয় সারা বাংলাদেশের খ্যাতি অর্জন করেছে এইসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা দিক বিবেচনা করে প্রশাসন, চিকিৎসা, প্রকৌশল, ব্যবসা-বাণিজ্য আরো রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতিত্ব অর্জন করে জেলারসুনাম বাড়িয়েছে। আমরা এই প্রবন্ধে নওগাঁ জেলা উল্লেখযোগ্য বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিস্তারিতভাবে ইতিহাস সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো বাংলায় মধ্যযুগ থেকে নওগাঁ অঞ্চলের শিক্ষা কার্যক্রম হয়ে আসতেছে পাহাড়পুর মহাবিহার [ এখন যেটা বর্তমানে বিশ্বের ঐতিহ্যের অংশ] 

এ অঞ্চলে প্রধান শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছিল এখানে ধর্ম, দর্শন, চিকিৎসা, জ্যোতিষবিদ্যা, গণিত ও সাহিত্য শিক্ষা দেওয়া হতো। মুসলিম শাসন আমলে মসজিদ ভিত্তিক মোট ও মাদ্রাসা প্রচলন ছিল প্রধান শিক্ষাকেন্দ্র হিসাবে ব্রিটিশ শাসন আমলে উন্নত মানের স্কুল ও কলেজ গড়ে উঠতে থাকে। বাংলা স্বাধীনতার পর থেকে এ জেলায় পাইমারি, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, কারিগরি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যেমন নওগাঁ সরকারি কলেজ এটা প্রাচীন ও খ্যাতিমান সম্পূর্ণ নওগাঁ সরকারি কলেজ ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কলেজটিতে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্ত পর্যায়ে
শুরু করেন

নওগাঁ সরকারি মহিলা কলেজ নারী শিক্ষা প্রসারের জন্য এই কলেজটি নির্মাণ করা হয়েছিল শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত এই কলেজ টিম বর্তমানে এটিতে রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকত্ত সম্মান আরো রয়েছে নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এটি নওগাঁ জেলার প্রাচীনতম স্কুল গুলোর মধ্যে একটি এটি ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং বিদ্যালয়ে শিক্ষা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

নওগাঁ জেলা বিখ্যাত হাসাইগাড়ির বিল 

নওগাঁ জেলা বিখ্যাত হাসাইগাড়ির বিল। আপনি কি জানেন বাংলাদেশে হাঁসাই গাড়ি নওগাঁ জেলার অন্যতম প্রাচীন এক জলাশয় এটি অবস্থিত নওগাঁ জেলা দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে এই বিলটির আয়তন মৌসুম ভেদে পরিবর্তন হতে থাকে বর্ষাকালে এইটা বৃষ্টিতে কয়েক হাজার বিঘাতে ছড়িয়ে যায় আর শুষ্ক মৌসুমে এটি আস্তে আস্তে ছোট হতে থাকে জল দ্বারা সীমিত হয়ে পড়ে। এই বিলটির আশেপাশে বেশ কয়েকটি গ্রাম গড়ে উঠেছে। যার মধ্যে হাঁসাই গাড়ি, খালিশপুর, বনগ্রাম, খাসপুর ইত্যাদি। স্থানীয়রা বর্ষাকালে বিলের পানি নৌকা ব্যবহার করে যাতায়াতের মাধ্যমে হিসাবে এবং আবার শুষ্ককালে বিলের।

উর্বর জমি বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলতে থাকে।বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ এই দেশে অসংখ্য নদী, খাল-বিল,হাওর-বাওর ওজলাশয় রয়েছে। এসব প্রকৃতির মাঝে জল দ্বারা কেবল কৃষিও মৎস্য চাষের অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এটা বিশেষ করে স্থানীয় অর্থনীতি এবার পরিবেশ সংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে আছে আপনি কি নওগাঁ জেলা রাজশাহী বিভাগের অঞ্চল গুলোর মধ্যে একটিতে থাকেন এ জেলায় রয়েছে অসংখ্য বিল যার মধ্যে নওগাঁ জেলার হাঁসাই গাড়ির বিল প্রকৃতির মাঝে একটি অপরূপ মনমুগ্ধকর দৃশ্য বিশেষ করে এই বিলকে কেন্দ্র করে নওগাঁ বাঁশি পিসি কাজ, জীবিকা, মাছ ধরা পরিবেশ, 

এবং এটিকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।হাঁসাইগাড়ি বিল অন্যতম আকর্ষণ রয়েছে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে যা বর্ষাকালে বীরের চারিদিকে পানিতে ভর্তি হয়ে যায়। নৌকা ভ্রমণ, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের যে দৃশ্যটা স্থানীয় এবং বাইরের ভ্রমণাত্মিক গুলো আনন্দ উপভোগ করে। হাঁসাইগাড়ি বিল নওগাঁ জেলার সম্পদ এবং স্থানীয় কৃষি, মৎস্য, পরিবেশ, এইগুলির ওপর পর্যন্ত গভীরভাবে সম্পৃক্ত হচ্ছে। এটিতে সঠিক উদ্যোগ গ্রহণ করলে এবিল শুধু নওগাঁ নয় বরং পুরো দেশের কাছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্ব রাখবে তাই হাসির গাড়ির বিল রক্ষা করা এবং এটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা আমাদের সকলেরই দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে।

শেষ কথা-নওগাঁ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

শেষ কথা-নওগাঁ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত। নওগাঁ জেলার ইতিহাস হাজার  বছর পুরনো এটি প্রাচীনকালে এ অঞ্চলে মহাস্থানগড় ও পাহাড়পুর সভ্যতার সাথে সম্পৃক্ত ছিল। যা পাল, সেন এবং মোগল আমলের বহু স্মৃতি রয়ে গেছে। আর নওগাঁর অনেক জায়গায় দেখা গিয়েছে।পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার[ ইউনেস্কো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গুলো ] ৮ম শতকে দিকে তৈরি হয়েছে সোমপুর মহাবিহার শুধু দেশ নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার এর সংস্কৃতির অন্যতম নিদর্শন ছিল।  রয়েছে কুসুম্বা মসজিদ সুলতানি আমলের একটি দৃষ্টান্তমূলক মসজিদ যেদিকে বলা হয় কালো পাথরের মসজিদ এটি আর কোথাও দেখা যায় না।

দুর্গাপুর দুর্গা ও অন্য প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান নওগাঁর  এক গৌরবের অংশ এবং নওগাঁর মানুষের জীবনযাত্রা নওগার মানুষরা অত্যন্ত সরল আর পরিশ্রমী এবং অতিথি পরায়ণ গ্রামীণ পরিবেশে মানুষরা একে অন্যের পাশে দাঁড়াই আর যেগুলো উৎসব হয়ে থাকে মেলা, নবান্ন উৎসব, পহেলা বৈশাখ, ঈদ, দুর্গাপুজো, মহররম আরো অনেক উৎসব এখানে সবাই মিলে পালিত করে থাকে। আর নওগাঁ জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নওগার বিল, নদী, সবুজ মাঠ এবং বৃক্ষ এগুলোকে মিলিয়ে এক অপরূপ সৌন্দর্য দেখা যায় বিশেষ করে বর্ষাকালে বিলগুলোতে নৌকা ভ্রমন এক অন্যান্য আনন্দ এনে দেয।

নওগাঁ জেলা মানুষের লোকসংগীত সম্পর্কে কিছু কথা সর্বশেষে বলা যায় যে নওগাঁ জেলা ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষি ,আম, ধান, গম প্রাচীন সভ্যতার শিক্ষা এবং সংস্কৃতি খাবার ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য নওগাঁ জেলা বিখ্যাত। বলে মনে করা হয়নি

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url